ঠাকুরগাঁওয়ে পুত্রের বিরুদ্ধে স্বামীর সম্পদের সঠিক বন্টন চেয়ে মামলা

প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২

খবরের কাগজ : ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতারণার অভিযোগে পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বৃদ্ধা মা। পুত্র রফিকুল ইসলাম(৪১) এর কাছে ভরণপোষণ ও স্বামীর সম্পদের সঠিক বণ্টন চেয়ে মা রোকেয়া আক্তার(৬০) ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলাটি করেন।

সোমবার(১৯ সেপ্টেম্বর) নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মা রোকেয়া আক্তার। মামলার বাদি রোকেয়া ও আসামি রফিকুল ইসলাম জেলার সিঙ্গিয়ার কলনিপাড়ার মৃত আবু তাহেরের স্ত্রী-সন্তান।

এর আগে, ১৩ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে অভিযোগ দিলে, অভিযোগ আমলে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ রায় আসামি রফিকুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারি করেন।

রোকেয়া আক্তার জানান, রোকেয়া আক্তার দুই পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জননী। স্বামী আবু তাহের ছিলেন অগাধ সম্পদের মালিক। তবে ২০১৫ সালে স্বামী মারা যাবার পর থেকেই তার কষ্টের জীবন শুরু হয়। সঠিকভাবে তার ভরন পোষণ দিচ্ছিলেন না সন্তানেরা। এরপর ২০২১ সালে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভুয়া ওয়ারিশান সার্টিফিকেট বানায় বড় সন্তান রফিকুল। সেখানে বাকি সন্তানদের বাদ দিয়ে নিজেকে মৃত তাহেরের একমাত্র সন্তান উল্লেখ করেন তিনি(রফিকুল)।

এরপর থেকেই মা রোকেয়া আক্তার কে ভরণপোষণ দেয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন। বার বার নিজের স্বামীর ভিটা থেকে বের করে দেবার হুমকি প্রদান করে। পিতার সম্পদের ভাগ নিয়ে ঝামেলা থাকায় অন্যান্য সন্তানেরাও মুখ ফিরিয়ে নেয়। এতোদিন গচ্ছিত অর্থ খরচ করলেও এখন তাও শেষ। তাই উপায় না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বৃদ্ধা মা।

রোকেয়া আক্তারের ছোটো পুত্র রেজাউল করিম বলন, আমার বাবার প্রচুর সম্পদ রেখে গেছেন। আমি ঢাকায় চাকুরী করায় পিতার সম্পদে আমার অংশ মা ও ভাইয়ের তত্বাবধনে রেখে যাই। তবে এখন জানতে পারছি ভুয়া সনদ বানিয়ে আমার ভাই সব সম্পদের মালিকানা নিতে চাইছে। আমার মায়ের কাছে জবাব চাইলে সেও কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম রিপন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার পরিদর্শক এস আই সিদ্দীক হোসেন বলেন, থানা থেকে মামলার তদন্তভার আমাকে দেয়া হয়েছে। মায়ের করা মামলায় বড় ছেলে রফিকুল পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আমরা মামলাটির তদন্ত করছি এবং আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।