খবরের কাগজ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগীতা ও জনপ্রতিনিধিকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে লাঞ্চিত করার অভিযোগ তুলে পৃথক দু’টি লিখিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগটি করেছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ১০ নং কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. রাশিদুল ইসলাম। রাশিদুল ইসলাম উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের শেখ আতিয়ার রহমানের ছেলে।
অভিযোগ উল্লেখ করেছেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে ইউপি সদস্য রাশিদুল বাড়ির পাশের একটি চায়ের দোকানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে বসে বৈঠক করছিলেন। এসময় কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার পুলিশ ফাড়ির এএসআই শরিফ ও কন্সটেবল নিমাই সেখানে উপস্থিত হয়। মেম্বার রাশিদুলকে বেরিয়ে আসতে বলে। রাশিদুল বেরিয়ে আসলে অকথ্য ভাষায় কথা বলে এবং ধাক্কা মেরে রাস্তার উপর ফেলে দেয়। এসময় রাশিদুলের চিকিৎসারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে রক্ষা করে। অবস্থার বেগতিক দেখে পুলিশ কর্মকর্তা শরিফ ও কন্সটেবল নিমাই স্থান ত্যাগ করে। এরপর রাত ১টার দিকে আবার আমার বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে যায়।
অপর একটি অভিযোগে ইউপি মেম্বার রাশিদুল জানায়, আমি পর পর দুইবার নির্বাচিত ইউপি মেম্বার। মামলার ৭নং স্বাক্ষি আব্দুল কাদের আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বি। আমার সাথে জনপ্রিয়তায় না পেরে আমাকে নানাভাবে হয়রানির করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় লোক দিয়ে আমার ভাই মাজেদুর রহমান মাজিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সাজানো ঘটনার এক মাস ১১ দিন পর গৃহবধুর স্বামী আল আমিন হোসেন সান্টু বাদি হয়ে আদালতে মামলাটি করেন। মামলা রুজুর এক সপ্তাহ পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয় কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে মন্তব্য লিখে দেন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক। এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বারোবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মকলেছুর রহমান তদন্ত শেষে চুড়ান্ত চার্জশীটে উল্লেখ করেন মামলার তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও সাক্ষ্য প্রমানে মাামলার ভিকটিম ধর্ষিতা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মকলেছুর রহমান তদন্তকালে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। ৩ হাজার টাকা দিয়েছিলাাম বাকি টাকা না দেওয়ায় আমার ভায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষন দেখিয়ে চার্জশীট দিয়েছে। এছাড়া পুলিশ তদন্তে করা ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্রের সাথে প্রকৃত ম্যাপের সাথে কোন মিল নেই। প্রকৃত তদন্ত না করেই আমার পরিবারকে ফাসাতে এমন গোজামিল দিয়ে চার্জশীট প্রদান করা হয়েছে বলেও দাবি এই ইউপি মেম্বারের।
বারোবাজার পুলিশ ফাড়ির এএসআই শরিফ জানান, ঘটনাার দিন আমি তেতুলবাড়িয়া গ্রামের একজন ওয়ারেন্টর আসামি ধরতে গিয়েছিলাম। সেখানে ইউপি সদস্য রাশিদুল আসামি ধরতে বাধা দেয়। এ ঘটনায় তার সাথে কথাকাটাটি হয় কিন্তু অসৌজন্যমূলক কিছু ঘটেনি। তিনি আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দিয়ে থাকলে সেটা তার ব্যপার, এটা আমার জানা নেই।