পৃথক ঘটনয় কিশোরী ধর্ষণ ও অপহরনের মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

খবরের কাগজ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: পৃথক ঘটনায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কিশোরী ধর্ষণ ও অপহরনের মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উভয় আসামিদের বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কামাসিদ এলাকা থেকে ধর্ষক জাহাঙ্গীর মিয়া ও অপর আসামি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ছাত্তার গেইট এলাকা থেকে অপহরনকারী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪)কে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর মিয়া (২৫) নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে মির্জাপুর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে। ধর্ষিত ভিকটিমের মা থাকেন বিদেশ,আর বাবা প্রাণ কোম্পানীতে চাকরি করেন,সেই সুবাদে প্রতিবেশি জাহাঙ্গীর মেয়েটির ঘরে ঢোকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণকারী একজন বিবাহিত ও ভিকটিমের সম্পর্কে চাচা হওয়ায় ভয়ে মেয়েটি ধর্ষণের ঘটনা গোপন রাখে।

পরবর্তীতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করানোর পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে সে ৪ মাসের অন্তঃস্বত্ত্ব। ধর্ষণের ঘটনার বিষয়টি ভিকটিমের বাবাকে জানালে তিনি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে,৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার সময় কিশোরী (১৩)কে তার বাড়ী থেকে আলমগীর হোসেন (৩২),অপরাপরের সহযোগীতায় অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকারী মৌলভীবাজার সদর থানার জ্যাকান্দি এলাকার মোঃ আলীম মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর ভিকটিমের চাচা মোঃ তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান নির্ণয় করে ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ছাত্তার গেইট এলাকা থেকে অপহরনকারী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার পূর্বক অপহৃত ভিকটিম (১৩)‘কে উদ্ধার করে ভোর রাতে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে আসা হয়।

পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই সুজন তালুকদার ও এসআই মুহিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে আসামীরদের পৃথক পৃথক স্থান থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আসামিদের পৃথক মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষিত মেয়েটি ধোবারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে তিনি জানান।